Thursday 21 April 2011

অকারণ


স্তন, যোনি, ঠোঁট যদি নাই হত 
বুঝতাম তবে তোমার 
নারীত্ব কত !
পুরুষাঙ্গ , শশ্রু, গুম্ফো , কর্কশ স্বর 
যদি নাই হত বোঝা যেত 
পুরুষ কদর  !
স্বাকামি, এককোষী আমিবার মত 
যদি মানুষ জন্ম নিত 
তবে আমার স্বদেশ অকারণ 
শিখত না শব্দ তিন 
যুদ্ধ , হিংসা, ধর্ষণ ||

Monday 11 April 2011

তিন সন্ধ্যে

জানতে চাওনি তাও ,
মনে হয়েছিল যদি
তিনটে  সন্ধ্যে চাওয়া যায়
 

সন্ধ্যে এক
লর্ডশেডিইং-এর ঠিক পর
শিক দেওয়া জানালার 

পাশে বসে
মুখোমুখি কবিতা শোনার
 

সন্ধ্যে দুই
কোনো এক কালবৈশাখী ঝড়ে
অজয়ের ধারে তোমাকে পাবার
 

সন্ধ্যে তিন
বুদ্ধ পূর্নিমা সাঁঝে 
তোমার মাথাটি নেব
আমার সমস্ত কোল মাঝে

মিয়োনো দেশলাই তাই
সাঁঝবাতি জ্বলেনি আমার
শুধু একটি রাত্রি এসেছিল |
গোপনে দুজনে মিশে যাবার
কালিঘেরা রাত্রির শেষে
বলেছিলে ডেকে
তোমার প্রেমিকার কাছে
আমার তিনটে সন্ধ্যে
রাখা আছে |

Sunday 10 April 2011

সুখ

দুঃখেরও একরকমের সুখ থাকে
তবে  কোনো ডানা থাকে না
যাতে ভর করে ওড়া যায়
কেবল ভার কিছু কমে
আর নির্ভার দুঃখেরা তখন
অপেক্ষা  করে পরবর্তী

কোনো দুঃখের আশায় ||

Thursday 7 April 2011

গৃহ প্রবেশ


প্রথম  আমার গৃহ প্রবেশের দিন
বলতে পারিনি ঘরে ঢোকবার ছড়া 
উনুনে  সেদিন উলে  ওঠেনি দুধ
কাঁখালেও  আমি তুলতে পারিনি ঘড়া | 
শেষ আশা ছিল পাঁকাল মাছটি ঘিরে
মনে হয়ে ছিল জাপটে ধরব মীন
লাফ দিল ওটা আঙ্গুলের ফাঁক গালে
উঠানে খুঁজেছি দুবছর প্রতিদিন |


আচ্ছা বলতো আমি কি জাতিস্মর!
মনে পড়ে কেন মস্ত আরাম কেদারা
মনে পড়ে কেন সাদা মার্জারখানি 
নিয়ে খেলছিল নরম উলের গোলা |
পাশে কেন ছিল রাখা আচারের বাটি
আচ্ছা বলতো  পোয়াতি ছিলাম নাকি! 
জানালার পাশে বুগনভেলিয়া আর 
নিজে হাতে পাতা নরম বিছানা চাদর 
আচ্ছা বলতো আমি কি জাতিস্মর! 
মনে পড়ে দিন চলচ্ছবির মত 
পাঁকাল মাছটি ধরতে পারলে পর 
এ জনমেও এই সব কিছু হত! 


একান্ত দুপুর




রোজ দুপুরগুলো একই রকম যায় 
শ্বাশুড়ি দিবানিদ্রার জন্য দোর দেয় |
বসার ঘরের ঠাকুর দাদা ঘড়ি
জানান দেয় দুটো কিম্বা দুটো কুড়ি
কান কাটা ভ্যান গখের আড়ালে
ঘুমিয়ে থাকে বুড়ি টিকটিকি |
বউটির তখনও মেলা কাজ বাকি
এ সময় সে তাড়াহুড়ো করে
হাতের এটা সেটা কাজ সারে
সব শেষে ঘরে আসে, দরজা আঁটে |
তারপর যা ঘটে সবই নিজস্ব, গোপন
আড়াল থেকে বেড়িয়ে আসে সুনীল, শক্তি, সন্দীপন
পাতায় পাতায় তখন আলাপ, প্রেমালাপ গভীর চুম্বন |
কোনো  কোনদিন বন্ধুদের পড়ে মনে 
কথা চলে খুব ,বাপের বাড়ির রিচার্জ করা ফোনে |
আবার কোনও দিন বউটি কিছুই করে না
রেডিওতে কান লাগিয়ে ছায়াছবির গান শোনে |
পিসি শ্বাশুড়ির দেওয়া শাড়িতে পাড় লাগায়
বিয়ের আগে শেখা দু-এক কলি গান গায়
এরই মাঝে চ্যাঁচায় ঠাকুর দাদা ঘড়ি
'দরজা খোলো বউ' পাঁচটা বেজে কুড়ি |
দিন যত কমে, রাত যত বাড়ে
পাল্টাতে থাকে ভূমিকা |বৌদি, বৌমা স্ত্রী ,
রাতে বিছানায় স্বামীর প্রেমিকা |
আদরে খাদ নেই, বরের সাথে বিবাদ নেই
বউটি তবুও বড়  একা!
সারা রাত ভালোবাসাবাসি শেষে 
রোজই বউ কাঁদে, আর মনে মনে ভাবে
কত দূর আর কত দূর 
আমার সেই একান্ত  দুপুর.

থামো

কাছে এস না
থামো  ||
ভালোবেসো না
থামো ||
বন্ধু ভেব না
থামো ||
আশ্রয় চেয় না
থামো ||
দুঃখ দিও না
থামো ||
সুখ চেয় না
থামো ||
সত্যি আমি ক্লান্ত...
পারত কিছু দাও ||