Thursday 7 April 2011

একান্ত দুপুর




রোজ দুপুরগুলো একই রকম যায় 
শ্বাশুড়ি দিবানিদ্রার জন্য দোর দেয় |
বসার ঘরের ঠাকুর দাদা ঘড়ি
জানান দেয় দুটো কিম্বা দুটো কুড়ি
কান কাটা ভ্যান গখের আড়ালে
ঘুমিয়ে থাকে বুড়ি টিকটিকি |
বউটির তখনও মেলা কাজ বাকি
এ সময় সে তাড়াহুড়ো করে
হাতের এটা সেটা কাজ সারে
সব শেষে ঘরে আসে, দরজা আঁটে |
তারপর যা ঘটে সবই নিজস্ব, গোপন
আড়াল থেকে বেড়িয়ে আসে সুনীল, শক্তি, সন্দীপন
পাতায় পাতায় তখন আলাপ, প্রেমালাপ গভীর চুম্বন |
কোনো  কোনদিন বন্ধুদের পড়ে মনে 
কথা চলে খুব ,বাপের বাড়ির রিচার্জ করা ফোনে |
আবার কোনও দিন বউটি কিছুই করে না
রেডিওতে কান লাগিয়ে ছায়াছবির গান শোনে |
পিসি শ্বাশুড়ির দেওয়া শাড়িতে পাড় লাগায়
বিয়ের আগে শেখা দু-এক কলি গান গায়
এরই মাঝে চ্যাঁচায় ঠাকুর দাদা ঘড়ি
'দরজা খোলো বউ' পাঁচটা বেজে কুড়ি |
দিন যত কমে, রাত যত বাড়ে
পাল্টাতে থাকে ভূমিকা |বৌদি, বৌমা স্ত্রী ,
রাতে বিছানায় স্বামীর প্রেমিকা |
আদরে খাদ নেই, বরের সাথে বিবাদ নেই
বউটি তবুও বড়  একা!
সারা রাত ভালোবাসাবাসি শেষে 
রোজই বউ কাঁদে, আর মনে মনে ভাবে
কত দূর আর কত দূর 
আমার সেই একান্ত  দুপুর.

1 comment: